সকালের ঘুম ভেঙে চোখের সামনে দেখি ঝোড়ো বাতাস,ধানের ক্ষেতে ঢেউ। চারিদিকে ধানক্ষেত, অসংখ্য ধানের শীষ। এরচেয়ে সুন্দর আর কি দেখে ঘুম ভাঙতে পারতো? ৯টার মধ্যেই Singapore Management University’র সেবা টিম স্টুডেন্টসদের সাথে পরিচিত হয়ে চটপট করে একটা ৩ জনের টিম তৈরী হয়ে গেলো। একজন একশনিয়ার আর ২ জন সেবা টিম মেম্বার। নিজেদের মধ্যে কথা বলাটা আসলেই মজার অভিজ্ঞতা। যাদের কারোরই মাতৃভাষা ইংরেজী না,তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে গেলে প্রথম আধা ঘন্টা আসলেই অদ্ভুত থাকে।
সারা সকাল জুড়ে কেউ স্কুলের টিচারদের কম্পিউটার শিখানো, কেউ ইট ভাঙা, কেউ জিনিসপত্র আলাদা করে গোছানো, কেউ documentary তৈরী করা নিয়ে ব্যাস্ত। এরপর দুপুরের খাবারকে মনে হচ্ছিলো অমৃত…..। খাবারের পর ইট বহন চললো লাইব্রেরি ঘর বানানোর জন্য। খাবারের পর নাকি পরিশ্রম করতে হয়….ইট টানার পর নিজেকে এটাই বুঝালাম। বিকেলে বাচ্চাদের সাথে পরিচিত হবার সাথে সাথে খেলা হলো মজার মজার খেলা। ওদের আনন্দের চিৎকার এখনো কানে লেগে আছে। তখনো কেউ কেউ লাইব্রেরি বানানোর কঠিন কাজটা করে গিয়েছে। সন্ধ্যার আগে SMU এর স্টুডেন্টদের সাথে অনেকক্ষণ গ্রামের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো…..এই তো দিনের শেষ। রাতের বেলা আবার একটা অসাধারণ খাবারের পর অন্ধকার রাতের আকাশে হাজার হাজার তারা……ক্লান্ত শরীরেও আনন্দের কোনো কমতি আসছে না……।
ওহ,বলতে ভুলে গিয়েছি,বিকেলে SMU এর স্টুডেন্টদের স্বাগত জানাতে এক গাড়ি র্যাব এসেছিল! আসলেই মনে হয় কোনো আনন্দ আশ্রমে আছি,যেখানে র্যাবও স্বাগত জানায়………।
– জাহিদ
IPE, BUET
২৭/০৪/২০১১
[ জাহিদ প্রজেক্টঃ সেবা‘র একজন একশনিয়ার। সাতাশ তারিখ ছিল ধুনটের খাদুলী গ্রামে সেবা’র প্রথম দিন, তার সেদিনের ডাইরী থেকে]
অসাধারণ লাগছিলো পড়তে, নিজে না থাকতে পারি, আমার এরকম একটা বন্ধু আছে সেটাই অনেক গর্বের ব্যাপার, চালিয়ে যা, যেকোন ভাবে পারি সাহায্য করবো…
এইরকম সাপোর্টই তো দরকার :)