আযানের ধ্বনি কানে যেতেই চোখ মেলে তাকালাম। ঘর থেকে বাইরের দিকে তাকিয়েই দেখলাম অন্ধকার এখনো চারিদিকে। মাত্র তাহলে ফজরের আযান দিচ্ছে! উঠে নামাযটা পরেই ফেললাম। ঘুমটা যখন কেটেই গেছে আজকে সূর্যদয়টা দেখে ফেলাই যায়। ঘর থেকে বের হয়েই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। যেরকম কুয়াশা চারিদিকে সূর্্য তো লুকিয়ে লুকিয়েই আকাশে উঠে যাবে। তবুও দাঁড়িয়ে রইলাম ধানক্ষেতের পাশে সূর্যের পথ চেয়ে………
প্রায় হতাশ হয়ে ঘরে ফেরত আসতেই সঙ্গী অ্যাকশনিয়ার বেন আমাকে ডাকলো সূর্যদয় দেখার জন্য। “আমি কতক্ষণ ধরে উঠে বসে আছি তোমাকে দেখার জন্য,আর তুমি বাবা আরেকজনের কাছেই আগে দেখা দিলে?!”-এই ছিলো আমার প্রথম অনুভূতি। কিন্তু সূর্য দেখেই তো মনটা ভালো হয়ে গেলো। ধানক্ষেতের উপরে হালকা কুয়াশার আড়াল থেকে লাল টকটকে বিশাল একটা বলের মতো উঠে এলো সূর্যটা। আমি,বেন আর সুহায়লী মিলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মন্ত্রমূগ্ধের মতো দেখলাম অন্ধকার কেটে আলো হওয়ার অপরূপ দৃশ্য!
ধানের উপর শিশির পড়ে থাকার সেই চমৎকার ছবিটা ফ্রেমে বন্দি করলাম ক্যামেরায়। সবাই উঠতে শুরু করেছে……নাস্তা খেয়েই এবার কাজের শুরু।
বাচ্চারা এসে বসে আছে আমাদের পড়ানোর অপেক্ষায়। আজকে বাচ্চাদের আমরা পড়াবো না,তাদের জন্য আজকে আরো অনেক মজার কাজ আছে! আমরা আর SMU এর স্টুডেন্টরা মিলে বিভিন্ন ক্লাসে ভাগ হয়ে গেলাম। আমার সঙ্গী indra আর wonderling. খুবই ভালো দুইটা মানুষ,ওদের সাথে কথা বলাটা খুবই আনন্দের। আজকে বাচ্চাদের দেয়া হলো কাদা জাতীয় এক ধরণের জিনিস,যা পানি দিয়ে মিশিয়ে স্কালপচার তৈরী করা যায়। বাচ্চাদের বলা হলো যার যা ইচ্ছা তা-ই বানাও। যখনই পুরো সবাইকে কিছু বলা দরকার,তখনই আমার ডাক! আমি নাকি হ্যান্ড মাইকের কাজ করতে পারি!!! বাচ্চারা যে নিজের মনের মতো করে কি সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরী করলো!!! আমি নিশ্চিত সুযোগ পেলে এদের মধ্যে থেকে অনেক ভাস্কর বের হয়ে আসবে।
এরপর একেকজনের একেক কাজ। কয়েকজন চলে গেলো ডকুমেন্টরী তৈরীর কাজে,কয়েকজন কন্সট্রাকশনে……আর আমি,naeem,indra আর bhuban চলে এলাম IT ক্লাসে। স্কুলের টিচারদের আগের দিন শিখিয়েছিলাম কিভাবে কম্পিউটার on/off করতে হয়,আর আজকে drive,folder,file এর সাথে পরিচয়। কতো অদ্ভূত উদাহরণ দিয়ে যে বুঝাতে হয়!!!
দুপুর বারোটার দিকে প্রচন্ড গরমের মধ্যে তরমুজ খেয়ে স্বর্গের কোনো খাবার মনে হচ্ছিল। তারপর কিছুক্ষণ সবাই মিলে কন্সট্রাকশন এর কাজ………
খাবারের পর যখন আমরা কাজ করতে নেমেছি তখনই দেখি আকাশ কালো হয়ে বৃষ্টি নামার প্রস্তুতি……খুশিতে তো আমাদের বাকবাকুম অবস্থা। যখনি গুড়ি বৃষ্টি নামলো আর কাজের বন্ধ পেলাম তখন আর কে পায় আম
পড়ে যাচ্ছি … অন্যরকম ব্লগ ধারাবাহিক! থামবেন না প্লিয
— সম্পূর্ণ কাজের কথা জানতে চাই।
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ……চলবে আশা করি
Bhalo laglo porte.Probashira kibhabe e dhoroner valo kajer shathe jukto hote pare dure boshe janaben.
Definitely you can join! Just write to us: team@ca-bd.org
Thanks Annie.
জাহিদ আর আমি প্রায় সময় একসাথে ছিলাম Action: ছবির ভাষা -তে :)তখন বুঝিওনি এতো দারুণ লিখে চমকে দিবে ছেলেটা!Bravo man. Go on. waiting for next episode.
ধন্যবাদ……এই কথাগুলোই আরো লেখার উৎসাহ দেয় :)
জাহিদ ভাই, Actioneer সিরিজ এর লেখক হয়ে যান, বইয়ের কাটতি ভালই হবে আশা করা যায়।
:)
হা হা……… :)
এক কথায় অনবদ্য, তোকে যত দেখছি ততোই অবাক হচ্ছি, এবং সত্যিকার অর্থে হিংসাও হচ্ছে কিছুটা! :P
apnr lekha ta pore nijer prothomshokal er kotha mone hoe gelo :( :(
btw….nice job :)