অ্যাকশনঃ লাইট আপ, মে ২০১৫!
আমাদের এই সেশনের স্থান হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিল তেজগাঁও ফার্ম প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমার জীবনের প্রথম প্রেজেন্টেশন ছিল! নার্ভাস ছিলাম, এক্সাইটেডও। আমার দায়িত্ব ছিল ক্লাস ৩-এর বাচ্চা-কাচ্চাদের সাথে ফিউচার ড্রিম নিয়ে কথা বলা। তাদের সীমাহীন সম্ভাবনার কথা তাদেরকে জানানো।
প্রায় ৭-৮ ঘন্টা সময় নিয়ে স্লাইড শো বানাতে গিয়ে শেষমেশ কী বলবো সেটার প্রস্তুতিই আর নেওয়া হয় নি! বাচ্চারা ক্লাস থ্রি এর হলে কী হবে, ওদের সামনে গিয়ে দেখি মুখে কিছুই আসছে না! ধন্যবাদ মহল আপুকে ইন্সট্যান্ট অনেক কিছু বলে আমাকে বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য :D
সেশন শেষে বাচ্চাদের একটি কাগজ দিয়ে বলা হয় তারা “বড় হয়ে কী হতে চায়” সেটা লিখতে।
তাদের রেসপন্স দেখে মনে হয়েছে আমাদের উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল!
৪০ জনের মধ্যে ১৪ জন হতে চায় ডাক্তার।
৩ জন চায় প্রকৌশলী হতে। এদের মধ্যে তিতাসের ইচ্ছা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। :D আবার ফাবিহা খান প্রকৌশলীর পাশাপাশি হতে চায় একজন ব্যবসায়ীও!
একজন হতে চায় লেখক, যদিও সে কাগজে নিজের নামটা লিখে নি। সম্ভবত ছদ্মনামে লিখতেই ভালবাসে! :D
মোশাররফ হোসেন মুসা নামের একজন হতে চায় শিল্পী। সেদিনের সেশন থেকে এই শিশুটির কথা আমার মনে বিশেষভাবে গেঁথে আছে। প্রচণ্ড মেধাবী এক শিশু। গানের গলা অসাধারণ, ভাল ছাত্র এবং অত্যন্ত চঞ্চল। পুরোই হার্ট থ্রব ব্যাপারস্যাপার! তবে তার গল্পটা একটু করুণ। মা-বাবা নেই মোশাররফের। বাসায় কাজ করতে হয় তাকে। :(
ছয় জন হতে চায় খেলোয়াড়। আসিফ নামের একজন আবার এক ধাপ এগিয়ে, সে খেলার পাশাপাশি দলের ক্যাপ্টেনও হতে চায়!
১০ জন হতে চায় শিক্ষক। ^_^
আবু বকর নামের একজন হতে চায় পাইলট। আকাশ নামের একজন আবার জানিয়ে দিয়েছে, সে বড় হয়ে কিছুই হতে চায় না! :D
আর হ্যাঁ, টীম মেম্বারদের কথা না বললে কেমনে? :D ওয়াসিফ ভাই হতে চান একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী! হাসান হতে চায় কবি, বিজ্ঞানী আর আর্মি! অন্তরা আপু হতে চান সরকারী কর্মকর্তা। মেহরীন আপু হতে চান ব্যবসায়ী, লেখিকা, সুখী মানুষ। বৃষ্টি আপু হতে চান শিক্ষক। মহল আপু হতে চান একজন সুখী মানুষ!
আর আমারটা না বলি। মানুষ এমনেও পাগল ভাবে। :v :v
[আরও ছবি দেখুন এখানে]
respect.ingenious.brilliant.and keep going
good job mahal,wasif and all
how can i get myself involved??